গনতন্ত্রের আন্দোলনে জীবন্ত পোষ্টার ‘শহীদ নূর হোসেন’

Posted: নভেম্বর 10, 2011 in Uncategorized

১০ নভেম্বর, বাংলাদেশের গনতন্ত্রকামী মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় দিন। এই দিন গনতন্ত্রের জন্য রাজপথে মিছিল করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিল শহীদ নূর হোসেন। শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি গনতন্ত্রের এই সাহসী সৈনিককে। ১৯৬১ সালে ঢাকার নারিন্দায় নূর হোসেনের জন্ম। বাবা মুজিবর রহমান। পেশায় স্কুটার চালক। স্বাধীনতার পর থেকেই নূর হোসেন ও তাঁর পরিবার বনগ্রাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে থাকতেন।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে একটি জীবন্ত পোষ্টার হিসাবে মিছিলের সামনে ছিলেন নূর হোসেন। মিছিল কিছুটা এগিয়ে গেলে সেই মিছিলের উপর শুরু হয় এরশাদের পেটয়া বাহিনীর গুলিবর্ষন। গুলি ভেদ করে, নূর হোসেনের বুক। রক্তাক্ত হয়ে যায় ঢাকার রাজপথ। লুটিয়ে পড়ে সময়ের সাহসী সন্তান নূর হোসেন। ক্লাস নাইনে পড়া সুমন নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ নূর হোসেনকে রিকশায় তুলে নিয়েছিল হাসপাতালে নেয়ার জন্য, রিকশটা গোলাপ শাহ মাজারের কাছে আসতেই পুলিশের কয়েকটা গাড়ি এসে ঘিরে ফেলে তাদের। কিশোর সুমনের কলার ধরে পুলিশরা তাকে টেনে রিকশা থেকে নামিয়ে নূর হোসেনকে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে আরো দুজন শহীদের সাথে জুরাইন কবরস্থানে মাটিচাপা দেয়া হয় নূর হোসেনকে।

স্বৈরাচার এরশাদ ও তার দোসররা সেদিন, জীবন্ত নূর হোসেনের থেকে বেশী ভয় পেয়েছিল তাঁর লাশকে! আর সে কারনেই তারা গুম করতে চেয়েছিল শহীদ নূর হোসেনকে। মাটিচাপা দিয়েছিল রাতের আধাঁরে শহীদ নূর হোসেনকে। কিন্তু স্বৈরাচারের এহেন কার্যক্রম, দমিয়ে রাখতে পারেনি সাড়া দেশের গনতন্ত্রকামী মানুষকে। তাই নূর হোসেনকে হত্যার পর সাড়া দেশে জেগে উঠেছিল হাজার হাজার নূর হোসেন। আন্দোলনের দাবানল স্ফুলিংগের মত ছড়িয়ে পড়েছিল সাড়া দেশে। পতন ঘটেছিল স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের। মুক্তি পেয়েছিল গনতন্ত্র।

বুকে “স্বৈরাচার নিপাত যাক” ও “পিটে গনতন্ত্র মুক্তি পাক” লিখে একটি জীবন্ত পোষ্টার হয়ে নূর হোসেন সেদিন ঢাকার রাজপথে নেমেছিল, আমাদেরকে গনতন্ত্রের মুক্ত পথে হাটার পথ বুনে দিয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে কিন্তু আমরা কি পেরেছি, দিক ভুল না করে নূর হোসেনের বুনে দেয়া সেই পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে? না, আমরা তা করতে পারিনি! আমরা নূর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানী করেছি। আমরা ক্ষমতার জন্য হাত মিলিয়েছি, নূর হোসেনকে যারা হত্যা করেছিল তাদের সাথে। স্বৈরাচারের হাত ধরে, গনতন্ত্র আজ গনতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রে পরিনত হয়েছে! এই কি চেয়েছিল নূর হোসেন?

গনতন্ত্রের আন্দোলনে জীবন্ত পোষ্টার ‘শহীদ নূর হোসেন’

১০ নভেম্বর, বাংলাদেশের গনতন্ত্রকামী মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় দিন। এই দিন গনতন্ত্রের জন্য রাজপথে মিছিল করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিল শহীদ নূর হোসেন। শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি গনতন্ত্রের এই সাহসী সৈনিককে। ১৯৬১ সালে ঢাকার নারিন্দায় নূর হোসেনের জন্ম। বাবা মুজিবর রহমান। পেশায় স্কুটার চালক। স্বাধীনতার পর থেকেই নূর হোসেন ও তাঁর পরিবার বনগ্রাম রোডের ৭৯/১ বাড়িতে থাকতেন।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে একটি জীবন্ত পোষ্টার হিসাবে মিছিলের সামনে ছিলেন নূর হোসেন। মিছিল কিছুটা এগিয়ে গেলে সেই মিছিলের উপর শুরু হয় এরশাদের পেটয়া বাহিনীর গুলিবর্ষন। গুলি ভেদ করে, নূর হোসেনের বুক। রক্তাক্ত হয়ে যায় ঢাকার রাজপথ। লুটিয়ে পড়ে সময়ের সাহসী সন্তান নূর হোসেন। ক্লাস নাইনে পড়া সুমন নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ নূর হোসেনকে রিকশায় তুলে নিয়েছিল হাসপাতালে নেয়ার জন্য, রিকশটা গোলাপ শাহ মাজারের কাছে আসতেই পুলিশের কয়েকটা গাড়ি এসে ঘিরে ফেলে তাদের। কিশোর সুমনের কলার ধরে পুলিশরা তাকে টেনে রিকশা থেকে নামিয়ে নূর হোসেনকে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে আরো দুজন শহীদের সাথে জুরাইন কবরস্থানে মাটিচাপা দেয়া হয় নূর হোসেনকে।

স্বৈরাচার এরশাদ ও তার দোসররা সেদিন, জীবন্ত নূর হোসেনের থেকে বেশী ভয় পেয়েছিল তাঁর লাশকে! আর সে কারনেই তারা গুম করতে চেয়েছিল শহীদ নূর হোসেনকে। মাটিচাপা দিয়েছিল রাতের আধাঁরে শহীদ নূর হোসেনকে। কিন্তু স্বৈরাচারের এহেন কার্যক্রম, দমিয়ে রাখতে পারেনি সাড়া দেশের গনতন্ত্রকামী মানুষকে। তাই নূর হোসেনকে হত্যার পর সাড়া দেশে জেগে উঠেছিল হাজার হাজার নূর হোসেন। আন্দোলনের দাবানল স্ফুলিংগের মত ছড়িয়ে পড়েছিল সাড়া দেশে। পতন ঘটেছিল স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের। মুক্তি পেয়েছিল গনতন্ত্র।

বুকে “স্বৈরাচার নিপাত যাক” ও “পিটে গনতন্ত্র মুক্তি পাক” লিখে একটি জীবন্ত পোষ্টার হয়ে নূর হোসেন সেদিন ঢাকার রাজপথে নেমেছিল, আমাদেরকে গনতন্ত্রের মুক্ত পথে হাটার পথ বুনে দিয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে কিন্তু আমরা কি পেরেছি, দিক ভুল না করে নূর হোসেনের বুনে দেয়া সেই পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে? না, আমরা তা করতে পারিনি! আমরা নূর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানী করেছি। আমরা ক্ষমতার জন্য হাত মিলিয়েছি, নূর হোসেনকে যারা হত্যা করেছিল তাদের সাথে। স্বৈরাচারের হাত ধরে, গনতন্ত্র আজ গনতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রে পরিনত হয়েছে! এই কি চেয়েছিল নূর হোসেন?

 

 

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান